• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

মিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জনকে আইনি নোটিশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে। আছে অপারেশন থিয়েটারও, তবুও বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে সেখানে কোনো অপারেশন হয় না। বছরের পর বছর তালা ঝুলছে অপারেশন থিয়েটারে। আছে এক্স—রে ও সনোগ্রাফি মেশিন। এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে স্বল্পমূল্যে পরীক্ষা—নিরীক্ষা করার নিয়ম থাকলেও রোগীদের পাঠানো হচ্ছে নির্ধারিত ডায়াগণস্টিক সেন্টারে। এই হাসপাতালটিতে প্রায় ৩০ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে রোগীদের সরবরাহ করার কথা থাকলেও এর এক ভাগ ওষুধও মেলে না, এতে বঞ্চিত সেবা প্রত্যাশীরা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাশিদুল ইসলাম রাশেদ। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) পাঠানো নোটিশে হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন, দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট জেনারেটর মেশিন সচল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য বলা হয়েছে। আইনজীবী রাশিদুল ইসলাম রাশেদের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায়। ওই নোটিশে বলা হয়, হাসপাতালের এক্স—রে (এ্যানালগ) মেশিন ও ফটোগ্রাফি মেশিন সচল থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে রোগীদের এক্স—রে সুবিধা না দিয়ে বাইরে থেকে এক্স—রে ও ফটোগ্রাফী করতে হয় এবং সব পরীক্ষাও বাইরে থেকে করতে হয়। জেনারেটর মেশিন বন্ধ থাকার কারণে রোগীদের প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মিরপুর উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার এবং জনসাধারণের সেবার জন্য তৈরী করা হয় মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০০৬ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বড় দুটি আবাসিক ভবন থাকলেও কোন আবাসিক ডাক্তার না থাকার ফলে পরিচর্যার অভাবে দরজা, জানালা, মেঝে, দেওয়াল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং ময়লা—আবর্জনা ও ঝোপঝাড় জমেছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা সেবাতে বিশেষ ভূমিকা ও অবদান রেখে চলেছেন এবং এই মর্মে “স্বাস্থ্য সেবা অধিকার, শেখ হাসিনার অঙ্গিকার” ঘোষিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদে জনগনের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্টে্রর অন্যতম দায়িত্ব এবং বিশেষতঃ আরগ্যের প্রয়োজনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ১৫ নং অনুচ্ছেদেও চিকিৎসা উপকরনের বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে ও ৩২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যাপক বিশ্লেষণে চিকিৎসা সেবার সাথে জীবন রক্ষা বা জীবন ধারনের শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। তাই এ এলাকার গরিব, মেহনতি, অসহায়, দুঃস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিগণদের উন্নত মানের চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক ডাক্তারসহ বন্ধ অপারেশন থিয়েটার (সিজারিয়ান) ও জেনারেটর মেশিন চালু এবং ডিজিটাল এক্সরে ও অটোগ্রাফি মেশিনের মাধ্যমে নিয়মিত সেবা প্রদানসহ সরবরাহকৃত ঔষুধ বিনামূল্যে প্রদান হওয়া প্রয়োজন। নোটিশে এসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইনি নোটিশটি পেয়েছি। এটা তদন্ত করে দেখা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads